ঢাকায় ১১০০ অস্ত্র উদ্ধার, ৯ আসামি রিমান্ডে
রিমান্ডে নেওয়া ব্যক্তিরা:
মো. শুকুর আলী
মো. রোকন মিয়া
হৃদয় মিয়া
রাকিব
স্বপন
মো. নুর হোসেন লিমন
সাজ্জাদ
আলী আকবর
সাজিদ হাসান
আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক পাভেল আহমেদ প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। বিচারক প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা
এর আগে ৯ আগস্ট শনিবার, সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের ‘ডেয়ারিং টাইগার্স’ ইউনিট নিউমার্কেট এলাকার তিনটি দোকান ও গুদামে অভিযান চালায়। অভিযানে সামুরাই ছুরি, চাপাতি, তীক্ষ্ণ ব্লেডসহ প্রায় ১,১০০টি ধারালো দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম, অভিযানের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা, বলেন:
“আমরা খবর পেয়েছি এই আইটেমগুলো সন্ত্রাসীদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে এবং গোপনে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিনটি দোকান থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয় এবং ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরাধের প্রেক্ষাপট
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত কয়েক মাসে রাজধানীতে সংঘটিত হত্যা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় এই ধরনের দেশি ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে, তারা অপরাধীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ ও ভাড়া দিত।
মামলা ও আইনি ব্যবস্থা
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসী গ্রুপের সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জনমত ও প্রতিক্রিয়া
নাগরিক সমাজ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অপরাধ বিশ্লেষক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন:
“অস্ত্রের সহজলভ্যতা নগর অপরাধকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে। দোকান থেকে সরাসরি সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র পৌঁছানো হলে তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”
0 Response to "ঢাকায় ১১০০ অস্ত্র উদ্ধার, ৯ আসামি রিমান্ডে"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন